Arifin Shuvoo |
সানি সানওয়ার তার নিজস্ব টাইমলাইনে আরিফিন শুভ সম্পর্কে বলেন,
ওর সাথে কথা হচ্ছিল ২০১৮ সালের মে মাসের দিকে। দেশের কোন একটি ক্রাইসিস মোমেন্টের গল্প নিয়ে সিনেমা বানানোর পরিকল্পনা করছিলাম। বললাম, এই সিনেমায় নায়কের সিক্স প্যাক চাই। কথাটা শুনে সে অনেকটা মূক হয়ে গেল। ও চুপচাপ কি যেন একটা ভাবতে লাগলো! আমি ভাবলাম সে হয়তো আমার কথাটা শুনেইনি। কিন্ত, নীরবতা ভেঙ্গে সে বলল
- ভাইয়া, আপনি ক'দিন সময় দিবেন আমাকে?
- ছয় মাস!
- না ভাইয়া, আমাকে এক বছর সময় দেন।
এক বছর পর ঋতুচক্রের কি অবস্থা সে হিসেব করতে লাগলাম। দেখলাম মাসে প্রচুর বৃষ্টিপাত হয়। তাই বললাম-
- না, তুমি নয় মাস সময় পাবা। যদি পারো তাহলে আমি আজকেই কাহিনী এবং স্ক্রিপ্ট লিখতে বসব।
সে চিন্তাত পড়ে গেল। হাতের আঙ্গুলে মাসের হিসেব কসতে লাগলো। বোকা বোকা চেহারা নিয়ে বলল -
- ভাইয়া আমি আমার ট্রেনারের সাথে একটু কথা বলে জানাই?
- না, এখনই বলো। আমি ভাবছি, আগামী নয় মাসে যতটুকু বডি ট্রান্সফরমেশন হবে ততটুকু দিয়ে আমরা কাজ চালিয়ে নিব। ঠিক আছে?
কিছুটা অতৃপ্তি নিয়ে সে বলল,
-ঠিক আছে ভাইয়া। আমার পরীশ্রম একটু বেশী করতে হবে, অন্য কোন কাজ করা যাবে না - এই আর কি!
তারপরের দিন থেকে শুরু হলো আমাদের দু'জনের দুই রকমের যুদ্ধ। আমি শুরু করলাম লেখালেখি, আর ও শুরু করল জীম। এভাবে প্রায় ছ'মাস পারি দেবার পর একদিন সে তার সিক্স-প্যাকের অস্পষ্ট মানচিত্রের সীমানা দেখালো। তার চোখমুখে ছিল 'ঈদের চাঁদ' দেখার আনন্দ। আমিও আশার আলো দেখতে লাগলাম। যাহোক, আমার স্ক্রিপ্ট লিখাও প্রায় শেষের দিকে। কিন্তু, স্ক্রিপ্ট অনেক লম্বা হওয়ায় টেনশনে পড়ে গেলাম।
পরিশেষে আরিফিন শুভ'র চমৎকার একটি বডি ট্রান্সফরমেশন এবং Mission Extreme - মিশন এক্সট্রিম -এর একটি সুদীর্ঘ স্ক্রিপ্ট নিয়ে মার্চ ২০১৯ -এ স্যুটিং শুরু করলাম।
কাজের প্রতি ভালোবাসা, প্রজেক্টের প্রতি ডেডিকেশন এবং সর্বোপরি চরিত্রে ঢুকার অদম্য ইচ্ছা - এসব কিছু মিলে ওকে একজন পেশাদার ও চমৎকার আর্টিস্ট হিসেবে আমার কাছে পরিচিত করে তুলেছে।
স্যালুট, শুভ।
0 মন্তব্যসমূহ