MOVIE REVIEW - LAGAAN । মুভি রিভিও - লাগান।

★মুভি নেম: লাগান
★মুক্তি সময়:২০০১
পরিচালক : আশুতোষ গোয়ারিকর
ব্যাক্তিগত রেটিং :৯.৫/১০
★★♥আমীর খানের Lagaan ছবি টি দেখে
নাই, এমন মানুষ পাওয়া দুস্কর।
আমাদের মা-খালা পর্যায়েও মনে
হয় সবাই দেখে ফেলেছেন এই
মুভিটি। হিন্দি মুভি ইন্ডাস্ট্রীর
জন্য এই ছবিটি একটি মাইলফলক।
আমার মত অনেকেই আছেন যারা
এই ছবিটি দেখেই আমীর খানের
ফ্যান হয়েছেন। কাহিনী, মেকিং,
কস্টিঊম সব ব্যাপারেই এই ছবিটি
ছিল সবার থেকে আলাদা।
ছবিটি মুক্তি পায় ২০০১ সালে।
আশুতোষ গোয়ারিকর ছবিটি
পরিচালনা করেন।
★★অভিনয়:
অভিনয়ে
ছিলেন আমীর খান, গ্রেসি সিং,
ব্রিটিশ অভিনেতা পল ব্ল্যাকথরন
এবং র্যাচেল শেলী।
বিশেষত্ব:এ ছবিটি ২০০২
সালের অস্কারের জন্য মনোনীত হয়
এবং জিতবার সম্ভাবনা তৈরী
করে, কিন্তু শেষ মুহূর্তে বসনিয়ান
মুভি “No Man’s Land” এর কাছে হেরে
যায়। হারা সত্ত্বেও ছবিটি
বিদেশে হিন্দি ছবির অত্যন্ত
সুনাম সৃষ্টি করতে সক্ষম হয়।
ইন্ডিয়াতে এ ছবিটি এত
এ্যাওয়ার্ড পায় যে সেগুলো
এখানে লিখতে গেলে আমার
নিজের মতামত দেয়ার জন্যই আর
জায়গা থাকবে না!
কি ছিল এই ছবিতে যা মন কেড়ে
নিয়েছিল সবার? উত্তরটা পাওয়ার
আগে চলুন কাহিনী সংক্ষেপ টা
দেখে নেই-
★★Movie Review :১৮৯৩ সালের ব্রিটিশ ভারত
রাজ্যের একটি ছোট্ট খরাপীড়িত
গ্রামের মানুষদের ওপর চাপিয়ে
দেয়া হয় অতিরিক্ত করের বোঝা,
যা তাদের পক্ষে কোনো ভাবেই
দেয়া সম্ভব নয়। তারা করের বোঝা
কমানোর আবেদন জানালে তাদের
সাথে বাজি ধরা হয় ক্রিকেট
খেলার। খেলা হবে গ্রামের
বাসিন্দা, যারা কিনা কখনোই
ক্রিকেট খেলে নি, এবং ব্রিটিশ
সেনা দল, যারা ওই গ্রামের কর
আদায় করবে। কি হবে ফলাফল?
গ্রামের বাসিন্দারা কি পারবে
সম্পূর্ণ অচেনা একটি খেলা শিখে
জয় ছিনিয়ে আনতে?
খুবই সহজ সরল কাহিনী। কিন্তু এই
সহজ কাহিনীকেই অসাধারণ করে
তুলেছে এর সহযোগী কাহিনিগুলো,
বা sub plot lines। এই সহজ কাহিনীর
মধ্যে মিশে আছে একটি ব্রিটিশ
মেয়ের unrequited love, হিন্দুদের
জাতিভেদ আর ব্রিটিশদের
অত্যাচার। আপনি মুহূর্তে মুহূর্তে
চমকাবেন না, কিন্তু ছবিটি দেখার
পরে আপনি এ ঘটনা গুলো ভুলতেও
পারবেন না।
সাধারণের মধ্যে অসাধারণ
কাহিনী যদি হয় এ ছবিটির
সাফল্যের গাঁথুনি, তবে অভিনয় হল
অলংকার। প্রতিটি অভিনেতা-
অভিনেত্রী নিজের সেরাটা
দিয়েছেন এ ছবিতে। শুধু প্রধান
চরিত্রগুলোই নয়, সহযোগী
চরিত্রগুলো ও অভিনয় করে গেছেন
সমান তালে। আমাকে যদি কখনো
প্রিয় চরিত্র বাছতে বলা হয়, এ
ছবির “গুরানমামারে” চরিত্রটি
অবশ্যই থাকবে তার মধ্যে।এছাড়াও
ইংরেজদের হিন্দিতে কথা বলার
ধরনগুলো বেশ হাস্যকর ছিল।
সেট ও কস্টিউমের কথা না বললেই
নয়। ১৮৯৩ সালের আবহটা কস্টিউমে
পুরোপুরি ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।
আমীর খান একই ধুতি পরে
মোটামুটি পুরো মুভির শুটিং
করেছেন, এমনটিও শোনা যায়। অন্য
সবার কস্টিউমও ময়লা এবং পুরানো
দেখানো হয়েছে authenticity বজায়
রাখতে। সেট হিসেবে একটি আস্ত
গ্রামই ব্যবহার করা হয়েছে, এবং
যে মন্দির টি ছবিতে দেখা যায়,
সেটি আসলেই ওই গ্রামের
বাসিন্দাদের তৈরী। মুভির
সংলাপ ৩টি ভাষার সংমিশ্রণ :
আভাদি, ভোজপুরি আর
Reactions

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ