‘Tall & Handsome’ প্রচলিত এই ইংলিশটি সবচেয়ে বেশি তাকেই মানায়। লুক, কিউটনেস, স্মার্টনেস পার্সোনালিটি এবং তার পরিচ্ছন্ন কাজ, সবকিছু মিলিয়ে পছন্দের তালিকার শীর্ষে তারই অবস্থান।
এগুলোর পাশাপাশি মোস্ট ওয়ান্টেড ব্যাচেলর হিসেবে বর্তমানে জাতীয় ক্রাস হিসেবে বিবেচনা করা হয় তাকেই।
রকস্টার, বরফি, সানজু.. মুভিগুলোর মতো হাই পারফরম্যান্স দিলেও সে বলিউডে নেপোটিজমের স্বীকার। কথাটা উল্টো বলে ফেললাম? হ্যাঁ, শ্রম ও প্রতিভা দিয়ে নিজের অবস্থান তৈরি করলেও নেপোটিজম ট্যাগটা কমবেশি লেগে আছেই। অবশ্য এটা স্বীকার করতে হবে নেপোটিজমের মাধ্যমে এদের মতো প্রতিভাবানরা নিজেকে সহজে তোলে/মেলে ধরতে পারে।
যাহোক, নেপোটিজম থেকে যদি তার মতোই কিছু আবিষ্কৃত হয়, তাহলে বাধা নেই..
বলিউডের এই হার্টথ্রব সুপারস্টারের আজ ৩৮-তম জন্মবার্ষিকী। সে উপলক্ষে তার সম্পর্কিত ৩৮ অজানা/অভ্যন্তরীণ বিষয় তুলে ধরার একটা প্রচেষ্টা ছিলো এটি।
U May Know Or Dont..
১. রণবীর সিং নয়, ‘ব্যান্ড বাজা বারাত’ ছবির জন্য নির্মাতাদের প্রথম পছন্দ ছিল সে।
২. তার প্রিয় রং কালো, সাদা আর লাল।
৩. কৈশোরে সে অবন্তিকা মালিকের প্রেমে পাগল ছিল। পরে এই অবন্তিকা মালিক আরেক বলিউড তারকা ইমরান খানকে বিয়ে করেন।
৪. জীবনে কম প্রেম করেনি। ‘কফি উইথ করণ’ অনুষ্ঠানে এসে স্বীকার করেছে, সে অসংখ্যবার মাতাল হয়ে পুরোনো প্রেমিকাকে ফোন করেছে। যাকে বলে ‘ড্রাংক ডায়াল অ্যান এক্স’।
৫. মা–বাবার সঙ্গে প্রথমবার কাজ করেছে ২০১৩ সালে ‘Besharam’ মুভিতে, এটা সকল সিনেমাপ্রেমীদেরই জানা। কিন্তু এর আগে বাবা ঋষি কাপুর পরিচালিত ১৯৯৯ সালের ‘Aa Ab Laut Chalen’ ছবির সেটে তিনি সহকারী পরিচালকের কাজ করেছে।
তবে ১৯৯৬ সালের ‘Prem Granth’ ছবিতে প্রথম সে সহকারী পরিচালকের কাজ করে বলেও শুনা যায়। সেই ছবিতে নায়ক ছিলেন তাঁর বাবা আর নায়িকা মাধুরি🤗।
৬. মায়ের হাতের তিনটি খাবার খুবই ভালোবাসে। ঢ্যাঁড়স, জঙ্গলি মাটন আর পায়া।
৭. ব্যক্তি হিসেবে খুবই লাজুক। জিকিউ ম্যাগাজিনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছিল, ‘অন্য মায়ের মতো আমার মাও চাইত, আমি যেন ডাক্তার হই। কিন্তু আবার ভাবত, এত চুপচাপ একটা ছেলে কীভাবে ডাক্তার হবে। আমার মনে হয়, অভিনেতা হয়ে আমি অন্য চরিত্রের ভেতর নিজেকে আড়াল করতে পারি। ফলে ব্যক্তি আমিকে লুকিয়ে ফেলা সহজ হয়।’
৮. সে মনে করে, ‘৮’ সংখ্যাটি তাঁর জন্য খুবই লাকি।
৯. স্কুলে যাওয়ার পথে লাল রঙের ডাকবাক্সকে খুবই ভাগ্যবান মনে করত। সেই লাল বাক্সের দিকে তাকিয়ে ‘ইচ্ছা পোষণ’ করত। আর তিনটি কালো গাড়ি খুঁজত। ভাবত, যদি একটা লাল বাক্স দেখার পর তিনটি কালো গাড়ি দেখে, তাহলেই তাঁর ইচ্ছা পূরণ হবে।
১০. পরদাদা, দাদা কিংবা বাবা নয় তার প্রিয় তারকা আল পাচিনো আর অমিতাভ বচ্চন।
১১. প্রিয় মুভি ১৯৭৫ সালের ‘Rafoo Chakkar’। যদিও এটা কোনো সেরা মুভি নয় তবে এই ছবিটি তাঁর বাবা ঋষি কাপুর আর মা নীতু কাপুর জুটির বেস্ট কেমিস্টি হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
১২. তার স্পিড ডায়ালে কে? মা নিতু কাপুর।
১৩. একটু অবসর মিললেই সে ফুটবল খেলা দেখতে বসে যায়। বার্সেলোনার সমর্থক। আর লিওনেল মেসির অন্ধ ভক্ত। ইন্ডিয়ান সুপার লিগে ‘মুম্বাই সিটি এফসি’ নামের ফুটবল দলের মালিকও সে।
১৪. সে দীর্ঘসময় ধরে জ্যাজ এবং ব্যালে নাচ শিখেছে। ঘোড়ায় চড়ার ওপর রয়েছে বিশেষ প্রশিক্ষণ।
১৫. সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম নয়, তার ক্রাশ, ক্যান্ডি ক্রাশ!
১৬. প্রথম পারিশ্রমিক দিয়ে সে নিজেকে একটা দামি ঘড়ি উপহার দিয়েছিল।
১৭. লি স্ট্রাসবার্গ ইনস্টিটিউট অ্যান্ড স্কুল অব ভিজ্যুয়াল আর্টস থেকে সে পড়াশোনার পাট চুকিয়েছে। আর এখান থেকেই অভিনয় শিখেছে। তাঁর আইডল আল পাচিনো।
১৮. তার আরও তিনটি প্রিয় ছবি হলো দাদা রাজ কাপুরের ‘Shree 420’, ইতালিয়ান ‘Life is Beautiful’ & ‘3 Idiots’। টিভি সিরিজ ভালোবাসে।
১৯. ভ্রমণে না নেই তাঁর। ঘুরতে যাওয়ার জন্য তার প্রিয় জায়গা যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক এবং ইতালির ভেনিস ও পুলিয়া।
২০. কাপুর বংশে সে-ই প্রথম পুরুষ, যিনি দশম শ্রেণির চৌকাঠ মাড়িয়ে কলেজে পা রেখেছেন।
২১. পাচিনো আইডল হলেও প্রথম দিকে অভিনয় শেখার জন্য সে গুরু দত্ত ও মেহবুব খানের সিনেমা দেখত।
২২. আত্মজীবনী পড়তে খুবই ভালোবাসে। কার্ট করবিনের জীবনী ‘Heavier Than Heaven’ তাঁর প্রিয় বই।
২৩. শাহরুখ খান, হৃতিক রোশন ও সঞ্জয় দত্তর মিমিক্রি অর্থাৎ অনুকরণ করতে দারুণ ওস্তাদ সে।
২৪. সে নাসাল ডেভিয়েটেড সেপটামে আক্রান্ত। ফলে সে দ্রুত খায় আর দ্রুতগতিতে হাঁটে।
২৫. ‘ওয়েক আপ সিড’ ছবিতে সে যত ছোট প্যান্ট পড়েছে, সব তাঁর নিজের ব্যাবহারের।
২৬. সুনমের পর দীপিকা পাড়ুকোনই তাঁর তৎকালীন প্রেমিক যে কিনা ২০০৮ সালে ক্যাটরিনা কাইফের পার্টিতে নিয়ে গিয়েছিলেন। সেখানেই তার আর ক্যাটের প্রথম দেখা। পরে দীপিকা মাইনাস হয়ে ক্যাট এড হয়।
এরপূর্বে তার আর দীপিকা পাড়ুকোনের দেখা হয় তাঁদের কমন মেকআপ আর্টিস্টের মাধ্যমে। ভারত ও ডরিস।
0 মন্তব্যসমূহ